বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করে বলেছেন যে, তারেক রহমানকে সাজা দিয়ে লাভ হবে না। তিনি বলেন, এ দু\’বছরের সাজা দিয়ে কী অর্জন করলেন।
তারেক রহমান দেশে ফিরে এলে আপনাদের হাজার বছরের সাজা হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নড়াইলের আদালতে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে অনেকে মনে করলো বিএনপি শেষ। বিএনপি শেষ হয়ে যায়নি, এখনো আছে। তখন বিএনপির হাল ধরেন বেগম জিয়া। ভবিষ্যতে তারেক রহমান হাল ধরবেন।
তিনি বলেন, সরকার এখন বলছে, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করবে। আমি বলবো, এ সরকার খেতাব দেয়নি। খেতাব নেওয়ারও অধিকার নেই এ সরকারের।
মির্জা আব্বাস বলেন, কোনো স্বৈরাচার সরকার এমনি এমনি ক্ষমতা ছাড়ে না। ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে হয়, এখন জনগণ ফুঁসে উঠছে। এই সরকারেরও পতন হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার অপর নাম জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করলে হাত পুড়ে যাবে। জিয়াউর রহমান নাকি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। আমি বলবো, জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করেন নি, ১৯৭৫ সালে বাকশাল করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিব পাকিস্তানের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, এটা এখনো পরিষ্কার। তিনি বলেন, করোনার চেয়ে ভয়াবহ শেখ হাসিনা। আজকে রাজাকার আলবদর আল শামস বলেন, আপনার শ্বশুর সুলতান চৌধুরী রাজাকার, আপনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ রাজাকার।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এখন ঘরে ঘরে মাফিয়া। শেখ হাসিনা মাফিয়াদের মাদার। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে টানাটানি করবেন না। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর আমরা লাশ ফেলে পালিয়ে যাইনি। কিন্তু শেখ মুজিব মারা যাওয়ার পর গোসল দেওয়ারও লোক মেলেনি।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলার সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সাজা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের মণিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন। জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায় এই ভোট চোর সরকার। জিয়াউর রহমানের খেতাব যদি কেড়ে নেওয়া হয়, তাহলে আমরা শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রীত্ব কেড়ে নেবো।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুন্নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে বিএনপির ওয়ার্ড পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে পুলিশ লাটিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।