আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেছেন যে, বিএনপির কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘জেল, জুলুম, নির্যাতন ও রাজপথ থেকে উঠে আসা জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।
বিএনপির কোনো অপকর্ম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না। ’ আজ রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে ব্যর্থ ও পরাজিত হয়ে বিএনপির পরাজিত নেতারা এখন হাঁক-ডাক শুরু করেছে। তাদের মাঠ গরমের অপচেষ্টাও সফল হবে না। পরাজিত প্রার্থীদের রোদনভরা ব্যর্থতার কাহিনী শুনে জনগণের কী লাভ হবে? বিএনপি নেতাদের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই, টেমস নদীর পাড় থেকে পাঠানো ফরমায়েসী বার্তা তোতাপাখির মত পড়েন। টেমস নদীর তীর থেকে ঘোষণা দিয়ে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় জোয়ার আনা যাবে না। জনবিচ্ছিন্ন এবং নেতিবাচক রাজনীতির কারণে বিএনপির ক্ষমতার মসনদে আরোহনের দিবাস্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। ’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির নয়া পল্টন অফিস হচ্ছে গুজবের ফ্যাক্টরি, সেখান থেকে আসা অপপ্রচারের বাণীতে খোদ বিএনপির নেতাদের মধ্যেই অবিশ্বাসের দেয়াল তৈরি করছে। ’
মিডিয়ায় আন্দোলনের ঝড় তুললেও বাস্তবে বিএনপি নেতারা রাজপথে থাকেন না মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘কেউ কেউ মাঠে থাকলেও ফেসবুকে দেওয়ার জন্য ছবি তোলেন, এরপর পালানোর পথ খোঁজেন। বক্তব্য-বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি নেতারা প্রাণ দেওয়ার বাসনা ব্যক্ত করলেও তার মুক্তির জন্য ঢাকা শহরে পাঁচশ’ লোকের একটি মিছিলও করতে দেখেনি জণগণ। তারা তাদের নেত্রীর মুক্তি ও চিকিৎসার চেয়ে রাজনীতি করেছে বেশি। বিএনপির নেতাদের বক্তৃতায় কথার ফুলঝুড়ি থাকলেও তারা রাজপথকে ভয় পায়, আন্দোলনকে ভয় পায়। এখন তারা জনগণকেও ভয় পায়। ’
কাদের বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি ভয়ের বৃত্তে এখন আবর্তিত হচ্ছে। পাঁচশ’ সদস্যের ঢাউস কমিটি থাকা সত্ত্বেও একটি বড় মিছিল যারা করতে পারে না, তাদের মেরুদণ্ডের শক্তি সম্পর্কে জনগণ বুঝতে পেরেছে বলেই নির্বাচনে তাদের ভোট দেয় না। বিএনপির কেবলা এখন লন্ডনে ৷ লন্ডনকে খুশি করার জন্যই তারা মিথ্যাচারের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ’