আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন যে, বিএনপির নির্বাচন বানচালের অপপ্রয়াস ভণ্ডুল করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, নিজেদের সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর ইভিএম মেশিন ভাঙা ও কেন্দ্র দখলসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি।
যা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। বরাবরের মতো বিএনপি ভোটের মাঠে অংশ না নিয়ে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তার দায়ভার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারিজনিত শঙ্কা কাটিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা না করায় এবং গণপরিবহন বন্ধ ছিল বিধায় ভোটার উপস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে।
‘এই নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিএনপির প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা নির্বাচনী মাঠে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে তা তাদের আমলেও পায়নি। বিএনপি ৭৩৫টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্রে এজেন্ট দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের সেই সাংগঠনিক ক্ষমতাও নেই। তারা তাদের দুর্বলতা ঢাকতে ও গণরায় ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। ’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মহানগরীর জনগণ কখনোই বিএনপির পক্ষে সমর্থন দেয়নি। এমনকী তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। শুধু একবার বিএনপি প্রার্থী হিসেবে মঞ্জুর আলম নির্বচিত হলেও মূলত রাজনৈতিকভাবে তিনি আওয়ামী মতাদর্শের মানুষ ছিলেন। বিএনপি ভোটের রাজনীতিতে জেতার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুর আলমকে নিয়ে প্রার্থী করেছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার লক্ষ্যে নিরাপত্তার জন্য ১৮ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্যের পাশাপাশি ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। মোটামুটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সব ভোটার, জনসাধারণ ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।