ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেরগেল নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ছিলেন। এবার তাদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
আজ রবিবার (০১ নবেম্বর রাজধানীর ৬ নম্বর সেক্টরে এই গণসংযোগ করেন তিনি। এ সময় অসংখ্য নেতাকর্মীর ঢল নামে। তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন রাজউক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এতিমখানা, উত্তরা টেলিফোন ভবন, উত্তরা কমিউনিটি ক্লাব, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে ধানের শীষে ভোট চান। সর্বশেষ কুয়েত-বাংলাদেশ মেডিকেল সংলগ্ন এলাকায় পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এস এম জাহাঙ্গীর।
তাবিথ ও ইশরাককে জনতার মেয়র উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর বলেন, \’এই দুজন হলেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের রূপকার। তাদের নিয়ে আমরা ভোট কেন্দ্রে পাহারা বসাবো। আগামী ১২ নভেম্বর যদি ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া না হয়, তাহলে সরকার পতন আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, \’তাবিথ ও ইশরাক এই আসনে প্রচার শুরুর পর থেকে ধানের শীষের গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। আমরা বলতে চাই, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বলব, আপনারা যদি জনগণের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করতে চান, জনগণকে যদি ভোট কেন্দ্রে আসতে দিতে না চান, তাহলে জনগণই ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, আগামী ১২ নভেম্বর দেশে কী হবে।\’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, \’আমরা আর দুর্নীতি-দুঃশাসন-নারী নির্যাতন দেখতে চাই না। আগামী ১২ নভেম্বর প্রমাণ করতে হবে ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে সব অপশাসনের অবসান ঘটাবে এই এলাকার জনগণ।\’
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, \’আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ অনেক অপপ্রচার করছে। আমরা যেখানে কর্মসূচি দেই, সেখানে তারা পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আমাদের জনতার মেয়র তাবিথ আউয়াল আজ সকালে গণসংযোগস্থলে গিয়ে ফেরত এসেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কোনো রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আগামী ১২ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠে আছি, মাঠে থাকব। আগামী ১২ নভেম্বর যদি ভোট দিতে দেওয়া না হয়, এখান থেকেই সরকার পতন আন্দোলন শুরু হবে।\’
পথসভায় তাবিথ আউয়াল বলেন, \’এবার ঢাকা-১৮ আসনে উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের নেতাকর্মী ও ভোটাররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। যত কিছুই হোক, আগামী ১২ নভেম্বর ধানের শীষের বিজয় নিয়েই ঘরে ফিরব।\’
ইশরাক হোসেন বলেন, \’যতই বাধা আসুক, আমরা আমাদের ঐক্য বজায় রেখে, আমাদের প্রচার চালিয়ে যাব। আগামী ১২ নভেম্বর ভোটকেন্দ্রে পাহারা বসিয়ে, সেখান থেকে গণভোট সৃষ্টি করব।\’
গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিম উদ্দিন আলম, রফিক শিকদার, মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি নবীউল্লাহ নবী, তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, কৃষক দলের খলিলুর রহমান, ইব্রাহিম, যুবদল নেতা হাবিবুর রহমান রাব্বি, ছাত্রনেতা আমজাদ হোসেন শাহাদাত, বাংলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আইয়ুব প্রমুখ।
রাজধানীর ৪৭ নং ওয়ার্ডেও কোটবাড়ি রেললাইন, গণ কবরস্থান, চৈতী গার্মেন্টস, মাটির মসজিদ, পেট্রোল পাম্প এলাকায় গণসংযোগ করার কথা ছিল বিএনপির প্রার্থীর। আওয়ামী লীগের বাঁধার কারণে করতে না পেরে বিকল্প হিসেবে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরে গণসংযোগ করতে হয়েছে এস এম জাহাঙ্গীর অভিযোগ করেন।