দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। বন্যাদুর্গত এসব মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় সিলেট ও সুমানগঞ্জ জেলায় শত শত কিলোমিটার সড়ক বিপযস্ত হয়ে কয়েকশ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায় অবিলম্বে দেশবাসীকে বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আহমেদ এসব কথা বলেন।
রিজভী আহমেদ সরকারি দলের লোকদের সমালোচনা করে বলেন, ক্ষমতাসীন দল, সরকার ও প্রশাসনের প্রশ্রয়ে জেকেজি হেলথ কেয়ার কিংবা আওয়ামী লীগ নেতা সাহেদ করিম চক্রের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের প্রাণ আজ ওষ্ঠাগত। এই সাহেদরাই হলো আজকের আওয়ামী লীগ শাসনের নমুনা। তিনি বলেন, এরা শুধু নগদ অর্থ কেলেঙ্কারির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, তারা মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা করেছে করোনা পরীক্ষার নকল সনদ দিয়ে। তাদের এই ব্যবসার বলি হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগণ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান আমলে দুর্নীতি-অনিয়ম-চুরি-বাটপারি যেভাবে নির্বিঘ্নে অবাধে হয়েছে, আওয়ামী শাসন ব্যতিরেকে কখনোই এমন ছিল না। সাহেদরাই বর্তমান আওয়ামী শাসনের নমুনা।
রিজভী আহমেদ বলেন, করোনার আঘাতে মানুষ চিকিৎসাবঞ্চিত। জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন তারা। প্রতিদিন বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা যাচ্ছে। কত মানুষ মারা যাচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যা নিয়েও জনমনে সন্দেহ রয়েছে। ভয়াবহ এই সংকটের মধ্যেও চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয় করার নামে শতশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকারি দলের লোকেরা।
রিজভী আহমেদ বলেন, প্রতিটি দুর্নীতির সঙ্গে সরকার ও প্রশাসনের যোগসূত্র প্রায় ওপেন সিক্রেট। শুধু তাই নয়, এসব দুর্নীতিবাজ ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবিধারী নেতা হওয়ায় সখ্যতা দেখা গেছে প্রভাবশালীদের সঙ্গে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, টকশোতে এই দুর্নীতিবাজরা বিরোধীদলের মুণ্ডুপাত করে, আর সরকারের পক্ষে জিগির তুলে। এখানেই শেষ নয়, এই সরকার গঠিতও হয়েছে জনগণের ভোট ডাকাতি করে। কাজেই এই সরকার ভোট ডাকাতির সরকার। আর সাহেদের মত প্রতারকরাই আজকের আওয়ামী শাসনের নমুনা।