আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন যে, মানুষের জীবন-জীবিকাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী বাজেট উত্থাপিত হবে। একই সঙ্গে অসচেতনতার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হলে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বলেও জানান তিনি।
আজ বুধবার (১০ জুন) নিজের সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল কার্যালয়ে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি একথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অসচেতনতার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বেশি করে শুরু হলে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে। করোনা সংক্রমণের ক্রম অবনতিশীল এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যে সব স্থানে লকডাউন করা হয়েছে, সেই সব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আপনার আমার, আমাদের সবার কল্যাণেই নেওয়া হয়েছে।
‘আর যে সব এলাকা লকডাউনের আওতামুক্ত, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি যদি আরও অবনতি হয়, যদি আবার সেকেন্ড ওয়েব শুরু হয় তাহলে দেশের সব এলাকায় সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পরিস্থিতি আরো অবনতি না ঘটিয়ে আসুন আমরা বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি।’
তিনি বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উত্থাপিত হবে। করোনা ভাইরাসের সংকটে প্রধানমন্ত্রী যেমন বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, ঠিক তেমনি বাজেট প্রণয়নের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছেন।
‘অর্থনীতিবিদ ছাড়াও বিজ্ঞদের পরামর্শ, গবেষণা ও পার্টির ইশতেহারের সঙ্গে সমন্বয় করেই সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেট বাজেট প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।’