বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন,সরকারের দুর্নীতিবাজ চক্র জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ লুটপাট করছে। আজ শনিবার ঢাকা-১৮ আসনের দক্ষিণখান থানা যুবদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রিজভী বলেন, সরকার যে ত্রাণ দিচ্ছে তা সরকার তার বাড়ি থেকে এনে দেখছেন না। জনগণের টাকায় কেনা ত্রাণ। প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করতে চেয়েছেন। কিন্তু দেখা গেছে ২০০ লোকের বিপরীতে একটি নাম্বার দেয়া। ওই লোকটি আওয়ামী লীগের। তিনি ৫০০ টাকা করে রেখে ২০০০ টাকা দিচ্ছেন। আবার এমন একটি বাড়ির মালিকের নাম দেয়া হয়েছে। তিনি সরকারি চাকরি করেন, তার ছেলে বিদেশে পড়েন। তাহলে বুঝতে পারেন সরকার কাদের সহযোগিতা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর টাকা কার কাছে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তথাকথিত নির্বাচিত আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান মেম্বাররা সরকারি ত্রাণ লুটপাট করছে আত্মসাৎ করছে। দুর্যোগ মুহূর্তও দুর্ভিক্ষের মধ্যে সরকার তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে চুরি করার। এই কাজটি সরকার করছে। আর আমাদের লোকেরা গুম, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার উপেক্ষা করেও নিজেদের পকেটের টাকায় অসহায়, কর্মহীন মানুষকে সহযোগিতা করছে। এটাই হলো বিএনপি আর আওয়ামী লীগের মধ্যে পার্থক্য। আমাদের নীতি আদর্শ জনগণের কল্যাণ করা। আর আওয়ামী লীগের আদর্শ অন্যদিকে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সরকার উন্নয়নে ফ্লাইওভার দেখান। আর মানুষ করোনা টেস্ট করতে পারে না। মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যে সরকার স্কুল কলেজ, হাসপাতাল তৈরি না করে নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য সেলাই ঘর তৈরি করে এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষ রাস্তাঘাটেই মরে পড়ে থাকবে।
ত্রাণ বিতরণের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণখান থানা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর আলী, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সভাপতি জুলহাস মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মনির ভূইয়া, দক্ষিণখান থানা যুবদলের সভাপতি শেখ আব্দুল্লাহ রাসেল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম মিঠু, বিমানবন্দর থানা যুবদলের সভাপতি মো. সবুজ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনসহ ছাত্রদল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা।