স্বচ্ছতা নিশ্চিত ও অনিয়ম রোধে প্রান্তিক মানুষের তালিকা তৈরি করে ত্রাণ ও সরকারের অন্যান্য সহায়তা বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেয়া হোক বলে জানিয়েছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। যেভাবে বর্তমান সরকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে, এটা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, চাল চুরির হিড়িক লেগেছে। কারা করছেন? চেয়ারম্যান-মেম্বার-উপজেলা চেয়ারম্যানরা। তারা কারা? তারা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তাই জনগণের প্রতি দায়ববদ্ধতা নেই। তারা গত ১২ বছর যাবত এসব কর্মকাণ্ডের সাথে অভ্যস্ত। তাদের দিয়ে এই কাজ (ত্রাণ বিতরণ) করা সম্ভব হবে না। সরকার এটা উপলব্ধি করতে পেরে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ছিল, সেই ওএমএস তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
এটা বন্ধ করে দিলে হবে? এই মার্কেট থেকে যারা ক্রয় করে তারা হচ্ছে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত। যত রকমের সাহায্য, ত্রাণ, ভিজিএফ-ভিজিডি এবং বয়স্কভাতা সবকিছু সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এবং পুলিশ বাহিনীর মাধ্যমে সরাসরি যদি বিতরণ করা হয় তাহলেই আজকে মানুষকে আমরা এই অবস্থা থেকে বাঁচাতে পারব।
তিনি বুধবার সকালে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নাটোরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) প্রদান এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, জেলা বিএনপির অন্যতম নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, খবির উদ্দীন শাহ, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, জেলা যুবদল সভাপতি আব্দুল হাই তালুকদার ডালিম, নাটোর জেলা ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ শফিকুল ইসলাম।
দুলু আরও বলেন, করোনা সংকটকালে সত্য ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনের জন্য যেসব সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করছে তাদের জন্য সর্বোচ্চ সুবিধা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জন্য রেশনিং পদ্ধতি চালুসহ স্বাস্থ্য বীমা, ঝুঁকি বীমাসহ সকল সুযোগ সুবিধা দিতে হবে।