ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরতে পারেন ১৫ মে

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আগামী ১৫ মে দেশে ফিরতে পারেন। দেশে এসে আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী যোগ দেবেন, এমন আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।

সিঙ্গাপুর থেকে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদের অস্ত্রোপচারের ধকল কাটিয়ে অনেকটাই সেরে উঠেছেন। বর্তমানে তিনি স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে নিয়মিত ব্যায়ামও করছেন তিনি। অবস্থার উত্তরণ ঘটায় একটি ফ্লাইটে তার দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে।

সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন, এমনটাই আশা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট নিরসনে এই সেতু দুটি বড় ভূমিকা রাখবে, এমন আশা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন মন্ত্রী। বহুবার সরেজমিনে সেতু দুটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনও করেন তিনি।

সেতুমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই গত ১৬ মার্চ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধন করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তাকে নিয়েই সেতুটি দেখতে যাবেন।

সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানিয়েছেন, আগের মতো যেন ঈদের সময় রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারেন সেজন্য ওবায়দুল কাদের দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। এর আগে ১ মে তথ্য কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ দিন পরই সেতুমন্ত্রী দেশে ফিরবেন। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের টেলিফোনে কথাও বলেন।

ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এমন তথ্য জানাচ্ছেন তাকে দেখে আসা আওয়ামী লীগ নেতারাও। সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে এসে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, \’সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।\’

সফল বাইপাস সার্জারির পর গত ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য হাসপাতালের কাছেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।

গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের গত ৩ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হন। পরে ভারতের প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে ৪ মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের আইসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফিলিপ কোহের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে তার। ২০ মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে সেতুমন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি করা হয়।

Scroll to Top