একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ প্রার্থীর শপথ নেয়ার জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র ১৩ দিন। তবে সাংবিধানিকভাবে বেঁধে দেয়া এই ৯০ দিনের পরও সময় চেয়ে আবেদন করলে স্পিকারের তা বিবেচনা করার সুযোগ আছে। আর শপথ না নেয়ায় আসনশূন্য ঘোষণার পর ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী আট প্রার্থী শপথ না নেয়ায় ৩০শে জানুয়ারি ২৮৭ জন সদস্যকে নিয়েই শুরু হয় একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন। তবে অধিবেশন চলার মধ্যেই ৮ই মার্চ শপথ নেন তাদের একজন- মৌলভীবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ।
এর ২৮ দিনের মাথায় শপথ নেন সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান।
বাকি ছয়জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আব্দুস সাত্তার ভুঁইয়া, বগুড়া-৬ আসনের মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুন অর রশীদ, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান জাহিদ এখনো শপথ নেননি।
সংবিধান অনুসারে সংসদের প্রথম অধিবেশন থেকে ৯০ দিনের মধ্যে কেউ শপথ নিতে ব্যর্থ হলে সেই আসন শূন্য ঘোষণা হবে। তবে রয়েছে আবেদনের সুযোগ।
ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, \’যদি কেউ ৯০ কার্য দিবসের মধ্যে শপথ নিতে না পারেন তবে উপযুক্ত কারণসহ স্পিকারের কাছে দর্খাস্ত করলে স্পিকার সময় বাড়িয়ে দিতে পারেন।\’ এর পর, বর্ধিত সময়ের মধ্যেও যদি কেউ শপথ গ্রহণ করতে না পারেন, তাহলেও তিনি আবার দরখাস্ত করতে পারেন বলেও জানান তিনি।
সময় বাড়ানোর আপিল মঞ্জুর করার পরও নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ না নিলে জাতীয় সংসদ আসন শূন্য ঘোষণা করবে। তার জন্যও সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, আসন শুন্য হলে এবং সচিবালয় থেকে এ সংক্রান্ত পত্র পেলে নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে ওই এলাকার জন্য আরও একটি পূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে।