একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসাবে ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী ৫ নেতাকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাত ৯ টায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের পরদিন দলের নির্বাচিত এমপিদের নিয়ে এ বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব। নির্বাচিতদের এমপি হিসাবে শপথগ্রহণ ও সংসদে যাওয়ার গুঞ্জন এবং এ নিয়ে গণমাধ্যমে অব্যাহত বিভ্রান্তিমুলক সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের জের ধরে তাদের সতর্ক করতেই ডাকা হয়েছিল। উল্লেখ্য, ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী ৬ জনের একজন মির্জা আলমগীর নিজেই।
বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, আমাদের ডেকেছিলেন মহাসচিব। কিছুদিন ধরে পত্রপত্রিকায় আমাদের শপথ গ্রহণ নিয়ে নানা খবর প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে।
যাতে আমাদের কেউ বিভ্রান্ত না হন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না যান।
হারুন বলেন, আমাদের কয়েকজন আগে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন আবার কয়েকজন এবারই প্রথম নির্বাচিত হয়েছেন। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের ওপর এলাকার মানুষের চাপ আছে এটা সত্য। কেউ কেউ তাদের বক্তব্যে সেটা তুলে ধরেছেন। কিন্তু আমরা নির্বাচিত হয়েছি দলীয় প্রতীকে, দলের সমর্থনে। এখানে দলের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রধান। আমরা এখন পর্যন্ত একমত যে, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত নেব না।
তবে দিনাজপুর থেকে নির্বাচিত দলীয় ধানের শীষের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শপথ নিয়ে সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে তার ওপর এলাকার মানুষের চাপ আছে। সেটা তিনি মহাসচিবকে জানিয়েছেন। সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে তার আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখনো ১৫দিন সময় আছে। দল এর মধ্যে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনতে পারে। দল সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে আমরা বসে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত এমপি আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াও তার ওপর এলাকাবাসীর চাপের কথা তুলে ধরেছেন। তবে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে যাবেন বলেও অঙ্গীকার করেন। এ সময় বিএনপিস্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।