৫ মাসের বাড়ি ভাড়া বকেয়া খালেদা জিয়ার

রাষ্ট্রের দেয়া দেড় বিঘার বিশাল বাড়ি ভাড়া দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া থেকেছেন ভাড়া বাড়িতে। দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাবার পর থেকেই দলের দায়িত্বশীল কোনো নেতা বা তাঁর পরিবারের সদস্যরাও খোঁজ রাখছেন না সেই বাড়িটির। তাই অযত্ন আর অবহেলায় রয়েছে তাঁর ভাড়া বাড়ি ফিরোজা। এখন সেখানে থাকছেন খালেদা জিয়ার ১৫ জন নিরাপত্তাকর্মী। এই অবস্থায় গেল ৫ মাস বাড়িটির মাসিক ৩ লাখ টাকা ভাড়ার ওই টাকা কেউ দিচ্ছেন না। এমনকি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিলও বকেয়া রয়েছে।

আইনি লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ২০১০ সালে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়েন তখনকার সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তবে, তাঁর জন্য বরাদ্দ রাখা ২৯ মিন্টো রোডে বিরোধী দলীয় নেতার সরকারি বাড়ি বা গুলশানে নিজের বাড়িতে না উঠে তার পাশে ভাড়া বাড়ি ফিরোজাতে তিন বছরের জন্য ওঠেন খালেদা জিয়া।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশেনের তথ্য অনুযায়ী খালেদা জিয়ার ভাড়া বাড়ি ফিরোজার মালিক তানভীর ইসলাম। যিনি বিএনপির এক নেতার সন্তান। গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ১ নম্বর বাড়িটিই ফিরোজা।

সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালে মাসিক ১০ লাখ টাকায় ফিরোজা নামের বাড়িটি ভাড়ায় ব্যবহার করছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব। পরে, ২০১১ সালে ৩ বছরের জন্য বাড়িটি ভাড়া নেন বিএনপি নেতা মোছাদ্দেক আলী ফালু। যার মাসিক ভাড়া ঠিক হয় ৩ লাখ টাকা। ভাড়া বাড়ি হিসেবে প্রথম দফায় তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৩ সালে। এরপর কয়েক দফায় নবায়ন করা হয় বাড়িটির চুক্তি। যা শেষ হয়েছে আরও পাঁচ মাস আগে।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজা পেয়ে কারাগারে যাবার পর থেকেই খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী সিএসএফের ১৫ জন সদস্য ছাড়া এখানে আসেন না দলের কোনও নেতা।

এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, \’নেত্রী জেলে যাবার পর থেকে এবং দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে একেবারে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত সবাই মামলা-হামলায় বিপর্যস্ত। সুতরাং এ ব্যাপারে কিছুটা অসুবিধা থাকতে পারে। কিন্তু আমার কাছে এ বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য জানা নাই, তাই কোনো মন্তব্য করতে চাইনা।\’

বাড়ি ভাড়া বকেয়া নিয়ে কথা বলার জন্য বাড়িটির মালিক তানভীর ইসলামকে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশে বাইরে আছেন। তবে, নতুন করে বাড়ি ভাড়ার মেয়াদ না বাড়ানোয় খালেদা জিয়ার আসবাবসহ যাবতীয় জিনিস কি ওই বাড়িতেই থাকবে নাকি তাঁর নিজের বাড়িতে নেয়া হবে তা কেউ বলতে পারছেন না।

Scroll to Top