খুলনায় ত্রাণ বিতরণে স্বচ্ছতা ও চাল চুরি ঠেকাতে তৈরি হয়েছে ‘অ্যাডভান্স রিলিফ ডিস্ট্রিবিউশন মেশিন’। এই মেশিনের মাধ্যম উপকারভোগীকে শনাক্তের পর স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তার প্রাপ্য খাদ্য সামগ্রী সঠিকভাবে বিতরণ করা সম্ভব হবে।
জানা যায়, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই দেশজুড়ে সমালোচনায় রয়েছে ওএমএসের চাল আত্মসাৎ ও ওজনে কম দেওয়ার একাধিক ঘটনা। অ্যাডভান্স রিলিফ ডিস্ট্রিবিউশন পদ্ধতিতে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব বলে দাবি করছেন মেশিনটির উদ্ভাবক স্কুলশিক্ষক মো. সোলায়মান ফরাজী।
তিনি বলেন, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ছোট অবকাঠামো নির্মাণ করে কাবিখা, ওএমএস ও রেশন বিতরণে এই মেশিন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এখানে রিজার্ভার ও আলাদা চেম্বারে খাদ্য সামগ্রী মজুদ থাকবে। ‘সেমি সুপারভাইসড লার্নিং’ পদ্ধতিতে মেশিনটি নির্দিষ্ট উপকারভোগীকে শনাক্তের পর রিজার্ভার থেকে প্রাপ্য খাদ্য সামগ্রী তাকে দেওয়া হবে। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে খাদ্য বিতরণে অতিরিক্ত লোকবলের প্রয়োজন হবে না।
উদ্ভাবক মো. সোলায়মান ফরাজী বলেন, এই মেশিনে ব্যবহৃত টেকনলোজি ও অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় খুবই সামান্য। তবে সেই তুলনায় সুফল পাওয়া যাবে অনেক বেশি। সফটওয়ারের মাধ্যমে নির্ধারিত খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হবে, ফলে ওজনে কারচুপি বন্ধ হবে। একই ব্যক্তির একাধিকবার ত্রাণ পাওয়ার সুযোগও থাকবে না। উপকারভোগীদের লাইনে না দাঁড়িয়ে তাদের সুবিধা মতো সময়ে ত্রাণ সংগ্রহ করতে পারবে। ফলে বাড়তি লোকবলের প্রয়োজন হবে না ও ভোগান্তি কমবে।