সারের আমদানি খরচ ৫১ শতাংশ কমলেও দেশের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির দাম কমার কোনো সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত দেশের বাজারে সারের মূল্য কমানোর তাগিদ কৃষি অর্থনীতিবিদদের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সারের দর। ২০২২ সালের মাঝামাঝি যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেয়। পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের আগস্টে কেজিতে ৬ টাকা বাড়ায় সরকার। এতে ইউরিয়ার নতুন দাম হয় ২২ টাকা। এপ্রিলে যা আরও ৫ টাকা বাড়ানো হয়। এই দফায় টিএসপি, ডিএপি, এমওপির দরও বৃদ্ধি পায়।
তবে সুখবর হলো আন্তর্জাতিক বাজারে কমতে শুরু করেছে প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের দাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় চলমান বছরে সারের আমদানি ব্যয় কমেছে ৫১ শতাংশ। যদিও তা আগের দামেই কিনতে হচ্ছে। এক কৃষক বলেন, কৃষকের কোনো উপায় নেই। তাই বাধ্যতামূলক বেশি দরেই কিনে।
কৃষকরা বলছেন, শুধু সার নয়, বীজ, বালাইনাশক ও সেচ খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু সেই হারে বাড়েনি ফসলের দাম। ফলে বিপাকে পড়েছেন তারা। এক কৃষক বলেন, সার, বীজ, কীটনাশক, বিষ-সবকিছুর দাম বেশি। তাতে আমাদের পোষায় না।
খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত দেশের বাজারে সারের মূল্য কমানোর তাগিদ কৃষি অর্থনীতিবিদ জাহাঙ্গীর আলম খানের। তিনি বলেন, সারের উচ্চ মূল্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক। বাড়তি দামে নিত্যপণ্য কিনতে হওয়ায় নাজেহাল ভোক্তা। তাই সবধরনের সারের দর এখন অর্ধেক কমিয়ে আনা উচিত। অন্তত ২০২২ সালের শুরুতে যেটা ছিল, সেটা পুনঃনির্ধারণ করা দরকার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার।