দেশে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরও সারা দেশে লোড শেডিং হওয়ায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তিনি আজ মঙ্গলবার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ দুঃখপ্রকাশ করেন। স্ট্যাটাস নসরুল হামিদ লিখেন,
‘সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, এ বছর গ্রীষ্ম, সেচ মৌসুম এবং রোজা একসঙ্গে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে সেটা আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আমরা আমাদের পূর্ব প্রস্তুতির স্বাক্ষরও রেখেছি। কিন্তু গত ৫০ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙে বর্তমানে যে নজিরবিহীন দাবদাহ চলছে তাতে ধারণার চেয়েও বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ‘এর ফলে দেশের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। এ অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগের জন্য আমরা আন্তরিক সহমর্মিতা ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সেইসঙ্গে সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই পরিস্থিতি উত্তরণে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, দেশব্যাপী গত দুই সপ্তাহ ধরে বইছে তাপদাহ। এরমধ্যেই দেশজুড়ে হচ্ছে প্রচণ্ড লোডশেডিং। এতে অসহ্য গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রামে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি। গ্রামাঞ্চলে দিনে-রাতে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টারও বেশি বিদ্যুৎ থাকছে না। যখন-তখনই চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ। আবার কোথাও কোথাও রাতে বিদ্যুৎ একবার গেলে আর আসেই না।