বিদ্যুৎ উৎপাদনে দেশে নতুন রেকর্ড হয়েছে। বুধবার রাত ৯টায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে রেকর্ড ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট। এতে দেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া পোস্টে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দেশে ১৪ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
প্রতিমন্ত্রী পোস্টে যা লিখেছেন
গতকালের রেকর্ড ছাপিয়ে গেল আজকের উৎপাদন। রাত ৯টার রিপোর্ট অনুযায়ী আজ দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৯৩২ মেগাওয়াট। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন রেকর্ড।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল—যে কোনো মূল্যে সাধারণ মানুষের জীবনে স্বস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্য পূরণে আমাদের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা অক্লান্ত কাজ করে যাচ্ছেন, সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
আগের রেকর্ড
এর আগে গত বছরের ৭ এপ্রিল ১৪ হাজার ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করেছিল। তারও আগে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ১৩ হাজার ৭৯২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল দেশে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রমজান ও গ্রীষ্মকাল বিবেচনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টার ফলে নতুন এই উৎপাদনের রেকর্ড হয়েছে।
বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে ২৫ হাজার ৫১৪ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে ১৯ হাজার ৬২৬ মেগাওয়াট। গ্রাহক সংখ্যা ৪ কোটি ২১ লাখ।
২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এ ছাড়া ১৪ হাজার ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন, ২ হাজার ৯৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২০টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তি সই প্রক্রিয়াধীন, যেগুলো খুব শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে।
এ ছাড়া ৬৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে আরও ১৫ হাজার ১৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে প্রায় ১৭শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।