গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ভাইরাসটিতে ১ লাখ ৮ হাজার ৫৭ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮৫৪ জনে। আর মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৯০ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে ব্রাজিল। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, তাইওয়ান ও মেক্সিকো।
গত ২৪ ঘণ্টায় জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৬৫৪ জন এবং মারা গেছেন ১১৪ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩১ লাখ ৩৬ হাজার ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭১ হাজার ৯২৩ জন মারা গেছেন।
ব্রাজিলে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ১৭৪ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৩৮১ জনের।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৬০ জন এবং মারা গেছেন ১৪২ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮২ জন এবং মারা গেছেন ১৪ জন। রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৫৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। মেক্সিকোতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ২৫০ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। তাইওয়ানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৬৪ জন। কলম্বিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৯ জন এবং মারা গেছেন ১৯ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৩৮ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তথ্য সূত্রঃ ওয়ার্ল্ডোমিটারস