গত ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০৬ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ১৯ জন।
আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানা গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে।
এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছাল ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ৫১৬ জনে। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ কোটি ৮৭ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫৪ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে জাপান। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ফ্রান্স, তাইওয়ান, রাশিয়া ও রোমানিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাশিয়ায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন। এ ছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ২১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮২৯ জনের।
জাপানে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ২০ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৭১ হাজার ৭৩৭ জন মারা গেছেন।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৭ জন এবং মারা গেছেন ১৩ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৪ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন। তাইওয়ানে নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০ জন এবং মারা গেছেন ৪৪ জন। চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩২৫ জন এবং মারা গেছেন ১৭ জন। ফ্রান্সে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪৭ জন। রোমানিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১২৬ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান প্রদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর তা বিশ্বের প্রায় সব দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তথ্য সূত্রঃ ওয়ার্ল্ডোমিটারস