আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের প্রথম দিন। তাই এই দিনকে ঘিরে এখন লাখো পর্যটক অবস্থান করছে কক্সবাজারে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্র সৈকত। সৈকতে কেউ যুগলবন্দী হয়ে সমুদ্রে স্নান করছে আবার কেউ সৈকত পাড়ে হাটাহাটি করে সমুদ্র সৈকতের পরিবেশকে করে তুলছেন ভালোবাসাময়।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কক্সবাজারের সবকয়টি আবাসিক হোটেল-মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজারে আসা এসব যুগলবন্দীদের কথা চিন্তা করে তারকা মানের হোটেলগুলোতে দেওয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। কক্সবাজারের ছোট-বড় মাঝারি সব হোটেল-মোটেল, কটেজ, রেস্ট হাউস ও গেস্ট হাউসগুলো আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। অনেক হোটেল-মোটেল আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পর্যন্তও বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজারে বর্তমানে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।
কক্সবাজারের অন্যতম তারকা মানের হোটেল সি গালের সহ-ব্যবস্থাপক নুরে আলম বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের পরও পর্যটকদের সংখ্যা অব্যাহত থাকলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের অতিতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
কক্সবাজার লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপক তারেকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ ২ বছর ধরে লাভের মুখ দেখছে ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় এ অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছে। আগামীতে যদি এই রকম পরিস্থিতি থাকে তাহলে পর্যটন শিল্প বিকাশে অনকেটা সহায়ক হবে।
এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের আগমন ও স্থানীয়দের পদচারণা নিরাপদ করতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে পারবেন।