বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে সম্মুখসারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি এবং অন্তঃসত্ত্বাদের টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় টিকা সংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। একই সঙ্গে আগামী ১-৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বুস্টার ডোজের গণটিকা ক্যাম্পেইন।
আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ইপিআই কার্যলয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে টিকাসংক্রান্ত কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি। তাদের টিকা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে। আমরা ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও সম্মুখসারির করোনা যোদ্ধাদের শিগগিরই টিকা দেওয়া শুরু করব।
টিকা দেওয়ার তথ্য তুলে ধরে ডা. শামসুল হক জানান, এখন পর্যন্ত দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৮৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর ৭৩ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার পেয়োছ ৫২ শতাংশ মানুষ। এ অবস্থায় আগামী ১ থেকে ৭ ডিসেম্বর বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে সারাদেশে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ৯০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনে শুধু টিকার দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৮৭ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে, ৭৩ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে। এ ছাড়া বুস্টার ডোজ পেয়েছে ৫২ শতাংশ।
প্রথম ডোজের টিকা প্রদান অফিসিয়ালি বন্ধ হয়েছে। তবে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে যে কেউ প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন টিকা প্রয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।