বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল, সেই সব সামরিক স্বৈরশাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনো নজর দেননি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দিলেন। এরপর থেকেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো। এখন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ মঙ্গলবার ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজক বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে।’
কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধুর সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রেরণার বিকল্প নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা নিয়ে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রত্যেককে তার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।’
এ সময় ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল অয়েল থেকে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র কিনে দেশীয় কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানির জোগানের ক্ষেত্রে এসব গ্যাসক্ষেত্র ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে ‘গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতিকরণের ব্যবস্থা’ সন্নিবেশ করে বঙ্গবন্ধু বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের প্রস্তুতি বাংলাদেশের ভালোই ছিল। র্ধৈয্য ধরে আমাদের সঙ্গে থাকুন। দেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এতে আরও অংশ নেন জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান, বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ, পিডিবি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।