পরীক্ষামূলকভাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর তাদের গণহারে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে।
বড়দের মতো শিশুদেরও করোনার টিকা পেতে আগে নিবন্ধন করতে হবে। শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তারা জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে। শিশুদের টিকার নিবন্ধন করতে হলে প্রথমে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ঢুকতে হবে। এই অ্যাপের নিবন্ধন ফর্মের ঘরে জাতীয় পরিচপত্র, জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট এবং পাসপোর্ট (বাংলাদেশি/বিদেশি) অপশন রয়েছে। এখানে ‘জন্ম নিবন্ধন’ নির্বাচন করে শিশুর ১৭ সংখ্যার জন্ম সনদ নম্বর দিতে হবে। নম্বর দেওয়ার পর শিশুর সব তথ্য কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখা যাবে।
এই অংশে বর্তমান ঠিকানার ঘরে গিয়ে বিভাগ, জেলা, উপজেলা/সিটি করপোরেশন, ইউনিয়ন/পৌরসভা/থানা এবং ওয়ার্ডের ঘর পূরণ করতে হবে। একই সঙ্গে দিতে হবে একটি মোবাইল নম্বর।
এরপর আসবে জন্মনিবন্ধন সার্টিফিকেট দিয়ে নিবন্ধিত ৫-১৭ বছরের নাগরিকদের ‘নির্বাচিত টিকা কেন্দ্র’ ঘরটি। সব কেন্দ্র শিশুদের টিকার আওতায় না থাকায় নির্ধারিত কেন্দ্রগুলো থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে। টিকা কেন্দ্র নির্ধারণের পর ফরমটি সেভ করলে নিবন্ধনে যে মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) পাঠানো হবে। সেই ওটিপি কোড দিয়ে ‘স্ট্যাটাস যাচাই’বাটনে ক্লিক করলে নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন হবে। নিবন্ধন শেষে টিকার প্রথম ডোজের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর জন্মসনদের নম্বর, জন্ম তারিখ দিয়ে লগ ইন করে এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া ওটিপি কোড দিয়ে টিকা কার্ড ডাউনলোড করতে হবে। এসএমএসে যে তারিখ দেওয়া হবে, সেই তারিখে টিকা কার্ড ও জন্মসনদ নিয়ে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধনকারী শিশুরা টিকা নিতে পারবে।
৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা। এরই মধ্যে ৩০ লাখ ডোজের বেশি টিকা দেশে এসেছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।