বঙ্গোপসাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। আজ রোববার সকাল থেকেই ট্রালারভর্তি ইলিশগুলো ঝুড়িতে করে এনে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য আড়তে ফেলছেন শ্রমিকরা। এরপরই আড়তদারদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে।
একদিকে চলছে মাপজোখ আর অন্যদিকে চলছে দরদাম। পাইকারি ক্রেতারা দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন। ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহনের ছাদে করে সাগরের এসব ইলিশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।
গতকাল শনিবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যাচ্ছে সাগরে মাছ শিকারে। আবার কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের মুখে হাসি।
জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তারা এতে অনেক খুশি। এক-একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর পন্টুনে ইলিশ দেখে ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১ কেজির বেশি (১২০০ গ্রাম) ওজনের ইলিশ ১০০ পিস বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। মাঝারি আকারের ইলিশ (৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায়।
এ ছাড়া বড় আকারের ইলিশের কেজি ১২০০ টাকা, মাঝারি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা ও ছোট (২০০ গ্রাম) ৫০০ টাকা।
কক্সবাজারে মৎস্য ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সমবায় সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গণি টুটুল বলেন, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।