অবশেষে দেশে শুরু হচ্ছে করোনভাইরাসের বুস্টার ডোজ। প্রথম পর্যায়ে ট্রায়াল হিসেবে এই কার্যক্রম শুরু করা হবে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে। পরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, গণমাধ্যমকর্মী ও বয়স্করা এই কার্যক্রমে যুক্ত হবেন। আজ রোববার মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) থেকে বুস্টার ডোজের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।
গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মানিকগঞ্জের গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে সদর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী ও দরিদ্র পরিবারের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি, ঢেউটিন ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেছেন, পর্যায়ক্রমে বুস্টার ডোজের টিকা সবাই পাবে। ওমিক্রন দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, ফাইজার টিকা আমাদের হাতে বর্তমানে রয়েছে সাত লাখ। আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই। ইতোমধ্যে ১১ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচ কোটি মজুত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনসহ অনেকে। এদিকে একইদিন দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বলেন, \’প্রথম পর্যায়ে আমরা বড় করে শুরু করছি না। যেকোনো কিছুই ট্রায়াল করলে ছোট করেই শুরু করতে হয়। সেই হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রথম দিকে বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সতর্কতামূলকভাবে তাদের আগে দেওয়া হবে। পর্যবেক্ষণে রাখা হবে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এরপর শুরু হবে বড় আকারে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম।\’ ডা. মঈনুল আহসান বলেন, \’স্বাস্থ্যকর্মী যারা সক্ষম, তাদের আমরা বুস্টার ডোজ দেব। এরপর কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখব তাদের। এরপর আমরা বয়স্কদের বুস্টার ডোজের আওতায় নিয়ে আসব।\’ ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন বলেন, \’আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা রয়েছে। তাই আমরা বুস্টার ডোজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে আমরা আরও কয়েকদিন আগে থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করি। এরই ফলশ্রম্নতিতে রোববার শুরু হতে যাচ্ছে বুস্টার ডোজ কার্যক্রম।\’