দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮১তম দিনে। এদিন নতুন ১৪৩ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৪৬ জন।
এদিন নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ৩০১ জন। গত ২৮ জুন দেশে সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল আট হাজার ৩৬৪ জন। গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আর গতকাল ১১৫ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ৩২ হাজার ৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় আট হাজার ৩০১ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
সরকারী ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৮১৭টি নমুনা। অর্থাৎ, মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন নয় লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় চার হাজার ৬৬৩ জনসহ মোট আট লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন সুস্থ হয়েছেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৮ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৪৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৯০ জন পুরুষ ও ৫৩ জন নারী। তাদের মধ্যে ১৩২ জনের হাসপাতালে (সরকারীতে ১০৯ জন, বেসরকারীতে ২৩ জন) ও বাড়িতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারাসহ মৃতের মোট সংখ্যা ১৪ হাজার ৬৪৬। মোট শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৪১৫ জন পুরুষ মারা গেছেন যা মোট মৃত্যুর ৭১ দশমিক ১১ শতাংশ এবং চার হাজার ২৩১ জন নারী মৃত্যুবরণ করেছেন যা মোট মৃত্যুর ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৪৩ জনের মধ্যে শূণ্য থেকে দশ বয়সী একজন, এগারো থেকে বিশ বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব ১১ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৮ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৪২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন রয়েছেন। আর বিভাগওয়ারী হিসাবে ঢাকা বিভাগে ৩৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৯ জন, খুলনা বিভাগে ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগে আটজন, সিলেট বিভাগে সাতজন, রংপুর বিভাগে ১০ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন।
করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৯ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৬ কোটি ৭৬ লাখের বেশি।