বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম নগর খুলনায় প্রতিদিনই বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যু বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনার নতুন ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে খুলনা। শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের দেরিতে হাসপাতালে আনা হচ্ছে। তখন তাদের চিকিৎসা দেওয়ার আর বেশি সময় হাতে থাকছে না। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শয্যা সংকটের পাশাপাশি অক্সিজেনের সংকটও দেখা দিচ্ছে। বেশিরভাগ রোগীরই অক্সিজেন দরকার হচ্ছে। অক্সিজেনের সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা।
বিভাগীয় শহর খুলনায় এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে তিনটি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খুলনার আশপাশের জেলাসহ বিভাগের প্রায় সব জেলার রোগীই এসব হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অক্সিজেনের প্রয়োজন, এমন অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। গতকাল ৩টি হাসপাতালের ৩০০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি ছিলেন ৩১৬ জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মনোভাবই আগ্রাসী। ঘরে ঘরে জ্বর। তারপরও কিন্তু আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না তারা করোনায় আক্রান্ত কি না। আর এবার রোগীরা আসছে অনেক দেরিতে। খারাপ অবস্থায় আসছে। হাসপাতালে আসতে কেন জানি ভয় পাচ্ছে। আবার নিজেরা প্রকাশ করতে চাইছে না। রোগীরা যদি শুরুতে আসে, তাহলে আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা করে চিকিৎসা দিতে পারি।