বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কোনোভাবেই যেন কমছে না। অদৃশ্য এ ভাইরাসে দিন দিন বাড়ছে শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৮ হাজার ৩৬৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৭৭০ জনে।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৭ হাজার ২১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৬ জনের।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৫৭০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৭ হাজার ৬৭৩ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬টি, জিন এক্সপার্ট ৪৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৯১টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৭৮৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৫৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৪০টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১০৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, রংপুর বিভাগে ৯ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৪ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ২ হাজার ৯৭২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৫২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৭৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪২ হাজার ৫৬৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।