বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল কুষ্টিয়ায় এক ব্যক্তির পুরো পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ করার দায়ে এক উপ-সচিব, থানা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ পাঁচজনকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে সংস্থাটি।
এনআইডি জালিয়াতি নিয়ে বড় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এমন কঠোর ঘটনা এটাই প্রথম।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, সাবেক ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-সচিব নওয়াবুল ইসলাম, ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া সদর থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম, মাগুরা সদরের থানা নির্বাচন কর্মকর্তা অমিত কুমার দাস ও অফিস সহকারী জি এম সাদিককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাদের পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কমিশন। বরখাস্তকালীন তারা খোরাকি ভাতা পাবেন।
জানা গেছে, এমএমএ ওয়াদুদ, পিতা: মৃত আব্দুল হাকিম, সাং-১১০, এন এস রোড কুষ্টিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া এনআইডি তৈরি করে একটি চক্র ওয়াদুদের জমি বিক্রি করে দেয়। ওয়াদুদ বিষয়টি জানার পর ইসিতে অভিযোগ দেয়। সে অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় নিজস্ব ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রথমে মামলা দেয় ইসি। এরপর সোমবার (১৫ মার্চ) সাময়িক বরখাস্ত করল। এর আগে ইসির নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।
তার পাঠানো প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা আইনের ২০ ধারা, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে ২৪, ৩৩ ও ৩৫ ধারা, পেনাল কোডে ১০৯, ৪২০, ৪৬৮ ধারা ও জাতীয় পরিচয়পত্র আইনের ১৭ ও ১৮ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
ছামিউল আলমের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় ও বাকিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান।