এবার ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ঘাড়ে মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় চাপালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ শনিবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ভাটারায় মশা নিধনে ক্রাশ প্রোগ্রামে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের মনিটরিং না থাকাও বড় কারণ। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা।
মশা রীতিমতো যেন মশকরায় মেতেছে নগরবাসীকে নিয়ে। সমন্বিত পদক্ষেপের নামে দুই বেলায় চলছে বিশেষ অভিযান তবুও মিলছে না মুক্তি। নগরবাসীর অভিযোগ, নগর কর্তৃপক্ষের অবহেলাতেই এমন জেঁকে বসেছে মশা। নগরের লেক, খাল ডোবা, নালা নর্দমা যেন কিউলেক্স মশার অভয়ারণ্য।
শনিবার (১৩ মার্চ) সকালে উত্তর সিটির চলমান মশক নিধনের ক্রাশ প্রোগ্রামে রাজধানীর ৪০ ও ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে মাথায় হাত খোদ নগরপিতার। চলতি মৌসুমে মশার এমন দশার দায় চাপালেন এক কাউন্সিলরদের। বললেন, মনিটরিং এর অভাবেই বেড়েছে মশার আধিক্য। সনাতন পদ্ধতিতে মশা নিধন কার্যক্রম কতটা কার্যকর হবে তা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
মেয়র বলেন, সামগ্রিকভাবে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। তবে মশার উপদ্রব বেড়েছে। আমাদের মনিটরিংয়ের যথেষ্ট ঘাটতি আছে। এখনো সনাতন পদ্ধতিতে মনিটরিং করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে মনিটরিং করলে এটি চলবে না। আমাদের কাউন্সিলররা আছেন, তাদের কেউ দায়িত্ব নিতে হবে। তাদেরও দায়িত্বের অবহেলা আছে। সিটি করপোরেশনের যারা মশককর্মী, মশক সুপারভাইজার আর যারা দেখাশোনা করে তাদের ঘাটতি আছে।
মশা নিধনের এ ধারাবাহিক কার্যক্রম আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানান উত্তর সিটির মেয়র।
মেয়রের এমন অভিযোগের দায় নিতে নারাজ ওয়ার্ড কাউন্সিলররা। নগরবাসীর অসচেতনতাকে তুলে ধরে তারা বললেন এমন মশা প্রকৃতির দান।
ডিএনসিসির ৪০ নম্বর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বারী বলেন, পরিষ্কার করার পর মশা ছিল না, নতুন করে খালে ময়লা কচুরিপানা আসায় আবার মশা হয়েছে। পরিষ্কার করার জন্য সিটি করপোরেশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে। পরিষ্কার করার জন্য মানুষ কাজ করছেন।
মশার বাড়ায় আসলে ব্যর্থতা কার এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বারী বলেন, ব্যর্থতা আমার হবে কেন। মশা তো আমি তৈরি করেনি। মশা কি আমি তৈরি করি। কেমনে হয়েছে। আমি তো ২৪ ঘণ্টা কাজ করছি। রাস্তাঘাটে জনগণের সেবা দিচ্ছি। সব সময় মানুষের কাজ করছি।