চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় চাল ভাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে মায়ের ওপর অভিমান করে রাব্বি হোসেন নামে এক ১২ বছরের শিশু আত্মহত্যা করেছে। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই শিশু। নিহত রাব্বি হোসেন ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার রুইথনপুর পূর্বপাড়ার কৃষক মিজানুর রহমানের ছেলে।
জানা গেছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির সামনের একটি বাগানে খেলছিল রাব্বি। এ সময় বাড়ি এসে মায়ের কাছে চাল ভাজা খেতে চায় সে। মায়ের কাজ থাকায় চাল ভাজতে অস্বীকৃতি জানায় তার মা। এরপর জিদ করলে তাকে বকাঝকা করে তার মা। পরে মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে যায় রাব্বি। এরপর সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে না দেখে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন তার বাবা-মা।
পরে বাগানের একটি গাছে রাব্বিকে গলাই গামছা পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। রাব্বির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এরপরে রাজশাহী নেয়ার প্রস্তুতির সময় রাত ১২টার দিকে মারা যায় রাব্বি।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, শিশু রাব্বির অবস্থা খুব আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নেয়ার আগেই মারা যায় শিশুটি।
এ প্রসঙ্গে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, চাল ভাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে রাব্বি নামের ওই শিশুটি তার মায়ের ওপর অভিমান করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই মারা যায় শিশুটি।
ওসি আরও জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহত শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।