মহামারী করোনার প্রভাব পড়েছে দেশের প্রায় সব খাতেই। টানা চার কার্যদিবস দর পতনের পর ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। আজ বুধবার সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস প্রথম ২৪ মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫০ পয়েন্ট। সূচক বাড়ছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। এ বাজারের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬১ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনের শুরু থেকেই একটানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আধা ঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইএক্স বেড়েছে ৬০ পয়েন্ট। বেড়েছে হাতবদল হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর। আধা ঘণ্টায় ২৫৫টির শেয়ারের দর বেড়েছে কমেছে ২৫টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৬টির দর। এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি টাকার।
গত চার কার্যদিবসে ডিএসইক্স কমে ১৪৬ পয়েন্ট। গতকাল এই সূচকটি ৪২ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে গত কয়েকদিনে সূচক ও লেনদেন কমে যাওয়ার তিনটি প্রধান কারণ জানা গেছে। এগুলো হচ্ছে—
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের দর প্রস্তাব শুরু হওয়া। সূচকের সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার করা নতুন ঋণ নিয়ম নিয়ে বিভ্রান্তি ও বিদেশিদের বিক্রির চাপ কিছুটা বেড়ে যাওয়া।
গত সোমবার থেকে এনার্জিপ্যাকের দর প্রস্তাব শুরু হয়েছে। এতে একজন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকার শেয়ারের আবেদন করতে পারবেন। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ সেখানে বিনিয়োগ করায় সেকেন্ডারি বাজারে তার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। তবে আজ লেনদেনের শুরু থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে সূচক।