বিজেএমসি (বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন) বাতিল করে আধুনিকীকরণ, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধ নয়, ঈদের আগে শ্রমিকদের বোনাসসহ ৬টি বিল প্রদান, ২০১৩ সাল থেকে অবসর নেয়া শ্রমিকদের এককালীন পাওনা পরিশোধসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে পাটকল রক্ষায় শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদ।
শনিবার দুপুরে খুলনার খালিশপুর ক্রিসেন্ট গেটের সামনে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়। সমাবেশে পরিষদের নেতারা বলেন, ভুলনীতি ও দুর্নীতিতে পাটকলগুলো ঢুবেছে। এতে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কয়েক লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। শ্রমজীবী এসব মানুষ তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে পথে বসবে। সরকারের উচিত ছিল, অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। একই সাথে পাটকলগুলো আধুনিকীকরণ করা। এতে আরো মানুষের কর্মসংস্থান হতো। পাশাপাশি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখত।
অপরদিকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল রক্ষা সিবিএ-ননসিবিএ সংগ্রাম পরিষদ শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের বোনাস প্রদান, শ্রমিক আন্দোলন, সিবিএ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা বাবদ ভুয়া ৯০ কোটি টাকা ব্যয় দেখিয়ে সিবিএর সম্মানক্ষুণ্ন, ঘরভাড়া বাবদ বিগত দিনের মতো মজুরি কর্তন, শ্রমিদের নামে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিসহ ১০ দফা দাবি জানিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে। শনিবার দুপুরে জুট ওয়ার্কার্স ইনস্টিটিউটে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেমায়েত উদ্দিন আজাদী।
শ্রমিকদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, আলিম জুট মিল শ্রমিকদের বকেয়া প্রদান, শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি প্রত্যাহার, অলস মজুরি কর্তন বন্ধ, খালিশপুর-দৌলতপুর জুট মিলের শ্রমিকদের এরিয়ার প্রদান প্রভৃতি। সংবাদ সম্মেলনে সোমাবার সকালে প্লাটিনাম জুটমিল গেটে মানববন্ধন ও দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।