করোনার শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জ হটস্পট থাকলেও এখন তা আর নেই। জেলায় করোনা আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছে। এতে করে স্বস্তির নিঃশ্বাস থাকলেও মানুষের মধ্যে কমছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব রক্ষাসহ বিভিন্ন কাজেই এখন আর মানুষ আগের মতো সচেতন নেই।
আজ রোববার (১২ জুলাই) সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। করোনায় এ জেলায় পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রাণ গেছে ১২১ জনের। তবে করোনায় উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন শতাধিক। কিছুদিন আগেও প্রতিদিন গড়ে ১০০ করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েও এখন তা অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৩ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুরের পর থেকে শহর ও আশেপাশে বৃষ্টি শুরু হলে সেখানে মানুষ ছাতা ব্যবহার করছেন। ঘর থেকে আকাশ মেঘলা দেখে ছাতা নিতে ভুল না করলেও ভুল করছেন মাস্ক নিতে কিংবা নিলেও সেটি ব্যবহার করতে। এতে করে নতুন করে করোনা সংক্রমণের শঙ্কার সৃষ্টি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানুষ শারীরি দূরত্বও আগের মতো আর মানছেন না।
এমন মাস্ক না পড়ে হাতে ছাতা থাকা কর্মজীবী হাসান আহমেদের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বৃষ্টিতে ভিজলে তো জ্বর আসতে পারে তখন অনেকেই আমার করোনা হয়েছে ভেবে আমার কাছে আসবেন না। আমার কর্মস্থলেও আমাকে তখন যেতে দেওয়া হবে না। আর মাস্ক সেটি পড়া উচিৎ তবে এখন আর তেমন কেউ পড়েন না তো। আমিও মাস্ক এনেছি তবে পকেটে রেখেছি। বেশি ভিড়ে গেলে পড়বো।
আরেক দোকানি আসলাম আলী জানান, আরে মাস্ক তো বাড়ি থেকে ভুলে নিয়ে বের হইনি। ছাতা নিয়ে বের হয়েছি। আমি ফুটপাতে দোকান চালাই। বৃষ্টিতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছি। মাস্ক পড়ে কি হবে আমার দোকানের অধিকাংশ ক্রেতাই তো মাস্ক পড়েন না। তাদের সঙ্গে নিয়মিত আমার কাজ তাই মাস্ক পড়িনি। তবে পড়া উচিত, দেখি পড়ার চেষ্টা করবো।
ছাতা নিতে ভুল না করলেও মাস্ক নিতে ভুলে গেলেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আকাশে মেঘ ছিল তো তাই ছাতাটা আগে নিয়েছি। মাস্ক নিতে ভুলে গেছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, আমরা এখন অনেকাংশে সুস্থ হয়েছি। এটা হয়েছে আমাদের সচেতনতা ও আপনাদের সচেতন হওয়ার প্রচারণার কারণে, তবে এখন যদি মানুষ আবার এসব ভুল করা শুরু করে আমরা আবার খারাপের দিকে যাবো। এতে করে কারও জন্যই ভালো কোনো সংবাদ আসবে না।