সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থরা \’ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চাই\’ এ দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত করেছে। রবিবার দুপুরে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নীলডুমুর খেয়াঘাট এলাকায় এ কর্মসূচী পালন করা হয়। গাবুরা ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মানববন্ধনে খোলপেটুয়া স্টুডেন্টস কেয়ার সোসাইটি, গাবুরা আইডিয়াল ক্লাব, গাবুরা অগ্নিবীণা একতা যুব সংঘ, স্বপ্ন চুড়া ফাউন্ডেশন, ইনিশিয়েটিভ ফর স্যোশাল হারমনি, আলোর দিশারি যুব সংঘ, উমর স্মৃতি সংঘ, স্যোশাল প্রাইড ফাউন্ডেশন, গাবুরা রক্তদান সংস্থা, সৃষ্টি হিউম্যান রাইট সোসাইটি, ডুমুরিয়া তরুণ সংঘ এবং আমার ১৯ ফাউন্ডেশনসহ ৩২টি সামাজিক সংগঠনের সহস্রাধিক তরুণ যুবকরা অংশ গ্রহণ করে।
মানববন্ধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন গাবুরা ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবিয়ার রহমান, গাবুরা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি বখতিয়ার রহমান, সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির উপজেলা সভাপতি ডা. দবির উদ্দিন, গাবুরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন, গাবুরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ঢাকা জোনের সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, খুলনা জোনের সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাতক্ষীরা জোনের সদস্য খান আবু খান প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, গাবুরা দ্বীপ ইউনিয়ন হওয়ার আমাদের সব সময় বাঁধ ভাঙা নিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। আকাশে মেঘ দেখলে আতঙ্কে আমাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন উপকূলে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু আইলার ১০ বছর পরও টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। এরপর আরোও কিছু ঝড় উপকূলে আঘাত হানে। সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানে শ্যামনগর ও আশাশুনির বেড়িবাঁধগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এই এলাকায় মানুষ খুবই দুর্ভোগের মধ্যে বসবাস করছে। অনেক মানুষ এখনও বাঁধের উপর মানবেতার জীবন যাপন করছে। এ ধরা অব্যহত আছে। যারা যাচ্ছে তারা আর ফিরে আসছে না। দিন দিন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে উপকূলীয় ইউনিয়নগুলো। মানুষের অর্জিত কষ্টের সম্পদ কিছু দিন পর পর এক একটি দুর্যোগ এসে নিয়ে চলে যায়।
বাঁধের জন্য উপকূলের মানুষকে এখনও আন্দোলন করতে হচ্ছে। আমরা ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। দ্রুত টেকসই বাঁধের দাবীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন বক্তরা।