বাংলাদেশী-আমেরিকানদের উত্থানের ক্ষেত্রে মার্কিন রাজনীতিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ড. নীনা আহমেদ। পেনসিলভেনিয়া স্টেট অডিটর জেনারেল পদে ডেমক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী মনোনয়নের নির্বাচনে (প্রাইমারি) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬৭ হাজারের অধিক ভোটের ব্যবধানে ধরাশায়ী করেছেন ড. নীনা।
২ জুন অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনের ভোট গণনা এখনও শেষ হয়নি। তবে ১০ জুন বুধবার দিবাগত রাত ১২টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী যে ভোটে তিনি এগিয়ে রয়েছেন, তার সমপরিমাণের ভোট গণনার বাইরে নেই। তাই ঐ ভোটের সবগুলোও যদি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিটসবার্গ সিটি কম্পট্রোলার মাইকেল ল্যাম্ব (যা কখনোই সম্ভব নয়। কারণ, সেখানে আরো প্রার্থী রয়েছেন) পেয়ে যান তবুও ড. নীনার ধারেকাছেও আসতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, ড. নীনার ভোট ব্যাংক হচ্ছে ফিলাডেলফিয়া সিটি এবং সংলগ্ন এলাকা। সেখানকার গণনাও হয়নি। এ অবস্থায় প্রবাসীরা উল্লাস শুরু করেছেন লকডাউনের মধ্যেই। কারণ, পেনসিলভেনিয়া স্টেটে সর্বোচ্চ পর্যায়ে যে ক’জন নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন তার অন্যতম হবেন ড. নীনা এবং এই স্টেটের ২৩৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একজন অশ্বেতাঙ্গ মহিলা এবং বাদামী রংয়ের ইমিগ্র্যান্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করলেন।
বাংলাদেশের সন্তান ড. নীনা ২১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর ইউনিভাসিটি অব পেনসিলভেনিয়া থেকে পিএইচডি করেন রসায়নে এবং মেডিকেল ফেলোশিপ করেছেন থমাস জেফারসন ইউনিভার্সিটি থেকে অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে। সেই থেকেই তিনি পেনসিলভেনিয়া স্টেটের ফিলাডেলফিয়া সিটি সংলগ্ন এলাকায় বাস করছেন সপরিবারে।
অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে মাঠে রয়েছেন ৩২ বছরেরও অধিক সময়। এর ফলে তৃণমূলে জোরদার একটি সম্পর্ক তৈরী হয়েছে ড. নীনার সাথে। এর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়া আমেরিকান বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ফিলাডেলফিয়া সিটির ডেপুটি মেয়র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে। এসব কারণে পেনসিলভেনিয়ার মত বিশাল একটি স্টেটে তার ব্যাপক পরিচিতি তৈরি হয়েছে।