নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর \’মানবতার ফেরিওয়ালা\’ উপাধি পাওয়া মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী লুনার শরীরে নিমোনিয়ায় উপসর্গ দেখা দিয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস তার ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটিয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতির মধ্যে এখন লুনাকে সব সময় অক্সিজেন সাপোর্ট নিতে হচ্ছে না। প্রয়োজন হলেই কিছুক্ষণ পর পর অক্সিজেন সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত খোরশেদ কিছুটা দুর্বল অনুভব করছেন। কাউন্সিলর দম্পতির স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুর পৌন ৩টায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেন কাউন্সিলের ওয়ার্ড সচিব আলী সাবাব টিপু।
তিনি জানান, কাউন্সিলর খোরশেদের স্ত্রী পূর্বে অক্সিজেন সার্পোটে থাকলেও বর্তমানে তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় সুস্থ রয়েছেন। কাউন্সিলর খোরশেদও মোটামুটি সুস্থতা বোধ করছেন। তারা দু’জনই স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রতিদিন দুপুর ১২টায় তাদের নানা টেস্ট করা হয়। আজকের (মঙ্গলবার) টেস্ট রিপোর্ট কি এসেছে এখনো আমরা জানতে পারিনি।
আলী সাবাব টিপু আরও জানান, প্রকৃতপক্ষে তারা ভালো আছেন খারাপ আছেন বিষয়গুলো ক্ষনে ক্ষনে পরিবর্তন হয়। হয়ত এখন একটু রোগী ভালো অনুভব করছেন। দেখা গেল একটু পরেই আবার একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তাই সম্পূর্ণ ভালো হওয়ার বিষয়টি একটি সঠিক সময় রয়েছে। তাই ভালো খারাপ বলার বিষয়টি চিকিৎসা পদ্ধতি ও সময়ের ওপর নির্ভর করে বলা যাবে।
গত ৩০ মে রাতে স্ত্রী’র শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কাউন্সিলর খোরশেদ দম্পতি সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে এমপি শামীম ওসমানের সহযোগিতায় ওই দম্পতিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য, খোরশেদ দম্পতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকলেও এখন অবদি তার টিম নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগীসহ নানা উপসর্গে মৃতদের লাশ দাফন কাফন ও সৎকার করে যাচ্ছে। এ পর্যন্ত তার টিম প্রায় ৬৫টি লাশ দাফন করেছে।