গাংনীতে পরকীয়া প্রেমের জেরে নিজের ভাড়া বাসায় স্থানীয়দের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে অবশেষে ২০ লাখ টাকা দেনমোহরে আবারও বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন গাংনী উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন। বর মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের আনসারুল হকের ছেলে গোলাম সরোয়ার ওরফে সবুজ। তিনি এক সন্তানের জনক। তার প্রথম স্ত্রী একজন স্কুলশিক্ষক। সবুজ ও ফারহানাকে হাতেনাতে ধরে বাসাতে আটকে রেখে বিয়ে পড়ানো হয়।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীনের স্বামী শাহাবুদ্দীন আহমেদ প্রায় তিন মাস আগে স্ট্রোকজনিত কারণে মারা যান। এক সন্তানের জননী ফারহানা ইয়াসমীন গাংনী উপজেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেকের উপস্থিতিতে এ বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়েতে উকালতির দায়িত্ব পালন করেন গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম। এসময় গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের (মেম্বর) সানোয়ার হোসেন ও ছেলের পিতা আনসারুল হক উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, এক সন্তানের জননী ফারহানা ইয়াসমীন। তার প্রয়াত স্বামী সাহাবুদ্দীন জীবিত থাকা অবস্থায় গোলাম সারোয়ার সবুজের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বেশ কিছু দিন ধরে গোলাম সারোয়ার সবুজ ফারহানার বাড়িতে যাতায়াত করতেন। ফারহানা ও গোলাম সারোয়ার সবুজের আচরণে স্থানীদের মাঝে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়। গোলাম সারোয়ার সবুজ আজ বেলা ১১টায় ফারহানার গাংনী পৌর সভার চৌগাছা এলাকার ভাড়া বাড়িতে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটকে রাখে।
এরপর খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌরসভার মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমানসহ স্থানীয় লোকজন জড়ো হন। প্রথমে তাদের পরকীয়া প্রেমের কথা অস্বীকার করে ধর্ম ভাই পরিচয় দিলেও পরে ছেলের মোবাইল সার্চ করে দুইজনের বিভিন্ন কথোপকথন এবং অসামজিক ছবি উদ্ধার করা হয়। পরে ছেলে সব কথা স্বীকার করাই তাদের দু’জনের বিয়ের আয়োজন করেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের দু’জনের মধ্যে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এবং আজকে তাদের দু’জনকে স্থানীয়রা আটক করে। আমরা তাদের কথা শুনে এবং তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করি।
: বাংলানিউজ।