সুপার সাইক্লোন আম্পান তীব্র গতিতে অতিক্রম করছে সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনা উপকূল। এর প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রার বিভিন্ন এলাকায় পানির চাপ বেড়েছে। এতে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, কয়রা উপজেলায় যে সমস্ত এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি ঢুকছে সেসব স্থান গুলো হচ্ছে, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের গোলখালী তাসলিম মোল্যার বাড়ির সামনের বাঁধ, ছোট আংটিহারা বাকের গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ, দক্ষিণ আংটিহারা সুইচ গেটের পূর্ব পাশ থেকে মুক্তিযোদ্ধা গিরীন সরদারের বাড়ি পর্যন্ত ওয়াবদার রাস্তা পেরিয়ে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের গাজীপাড়ার বাঁধ, কয়রা সদর ইউনিয়নের হরিণখোলা বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান এখন ৯১ কিলোমিটার বেগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ উপকূল দিয়ে খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করছে। এতে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে নদ-নদীতে পানির চাপ বেড়েছে। কয়রার দক্ষিণ বেদকাশীর গোলখালী, আংটিহাড়া, হরিণখোলায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।
খুলনা-৬ আসনের (কয়রা-পাইকগাছা) সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবুও কয়রার এসব এলাকার বাঁধ ভাঙার খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে ঝড় শেষ না হওয়া পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাবে না বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনার প্রধান প্রকোশলী মো. রফিক উল্লাহ জানান, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করার খবর আছে।