যশোরের ঝিকরগাছার কৃষক দীর্ঘদিন পর চলতি মৌসুমে বোরো-ইরি ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। বাম্পার ফলন আর আশানুরূপ দাম পাওয়ায় খুশি ধান চাষিরা। কৃষকের দাবি দাম থাকায় অন্তত দশ-এগারো বছর পর তাঁরা ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের হিসেব মতে চলতি মৌসুসে এই উপজেলায় ১৮ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো-ইরি ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। চাষ হয়েছে ১৯ হাজার জমিতে। ইতোমধ্যে মাঠের প্রায় সব ধান পেকে গেছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার জন্য কৃষক ধান কাটতে পারছেন না।
সরেজমিনে কথা হয়, উপজেলার বল্লা গ্রামের কৃষক শুকচান আলীর সাথে। তিনি এ মৌসুমে ১৩ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এক বিঘা জমির ধান কেটে ফলন পেয়েছেন ২৫ মণ। এ ধান তিনি ৯৩০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। তাঁর হিসাব মতে এক বিঘা জমিতে বোরো চাষে মোট ব্যায় হয় ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা।
অথচ দাম না পাওয়ায় গেল ৮/১০ বছর কৃষককে বিঘা প্রতি ৪-৫ টাকা গচ্চা গুণতে হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। বেজিয়াতলা গ্রামের চাষি সফিউদ্দীন জানান, ১০ কাটা জমিতে ব্রি ৬৩ জাতের ধানে ফলন হয়েছে ১৫ মণ। বর্তমান বাজার মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে কৃষক লাভবান হবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। উপজেলার কানাইরালী গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম রসুল জানান, বর্তমান ধানের বাজার মূল্য প্রকারভেদে ৯শ থেকে সাড়ে নয়শ টাকা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ জানান, অনুক‚ল আবহাওয়া আর কৃষি বিভাগের তৎপরতায় চলতি মৌসুমে বোরো ধান চাষে তেমন কোনো আগাবিগে না থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের দামও কৃষক আশানুরুপ পাবেন বলে তিনি আশা করেন।