সমগ্র দেশবাসীকে যেখানে ঘরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে এই করোনার মধ্যে অহেতুক ঘোরাঘুরি করে ও আড্ডা দিতে বের হয়ে পুলিশ কর্মকর্তার অভিনব শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন যুবকরা। পুলিশ কর্মকর্তার সামনে ঘণ্টাব্যাপী সময়ে ৫০০ বার লিখতে হয়েছে ‘আমি দুঃখিত’। যারা লিখতে পারেননি তাদের মুখে ১ হাজার বার বলতে হয়েছে বাক্যটি।
আড্ডা দিতে বের হয়ে সোমবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে নগরের কোতোয়ালী থানাধীন সিআরবি এলাকায় এমন অভিনব শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন ২০ যুবক। তাদের এমন শাস্তি দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা।
বোরবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলেও সিআরবিতে পাঁচ যুবক একই ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাদের ৫০০ বার লিখতে হয়েছিল ‘আমার ভুল হয়েছে, আর বের হবো না’। যারা লিখতে পারেননি এ বাক্যটি তাদের ১ হাজার বার বলতে হয়েছিল। ওই যুবকদের প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছিল এতে।
আড্ডা দিতে বের হয়ে ৫০০ বার লিখতে হলো \’আমি দুঃখিত\’করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সিএমপি জনসমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হতে নিষেধও করেছে। তা উপেক্ষা করে কিছু মানুষ অহেতুক আড্ডা দিতে বের হয়। তাদের কেউ কেউ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারও খেয়েছে। পুলিশ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে আসছে প্রতিনিয়ত।
সিএমপির সিনিয়র সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) নোবেল চাকমা বলেন, করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত। কিন্তু কিছু মানুষ অহেতুক বাইরে ঘোরাফেরা করেন। কেউ কেউ আড্ডা দেন।
নোবেল চাকমা বলেন, সিআরবি এলাকায় টহলকালে আড্ডা দেওয়া যুবকদের বাইরে থাকার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। যেহেতু তারা কেন বের হয়েছে সেটা বলতে পারেননি তাই তাদের ৫০০ বার ‘আমি দুঃখিত’ বাক্যটি লিখতে বলা হয়েছে। যারা লিখতে পারেননি তাদের ১ হাজার বার বলতে হয়েছে। এটি আসলে শাস্তি নয়, শাস্তির আদলে তাদের সচেতন করার কৌশল। তাদের মধ্যে যাতে অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি করবে না এমন বোধ তৈরি হয়।