আজ খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন এলাকার বিক্ষুদ্ধ জনতা। এসময় তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়েছে পুলিশ।
রোববার (১৯ এপ্রিল) উপজেলার বারাকপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে চেয়ারম্যান মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
বারাকপুর ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন বলেন, রোববার উপজেলা পরিষদে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ছিল। সেখানে ইউএনও আমাকে ডেকেছিলেন। আমি যেতে রাজি হয়নি। তবে পুলিশ প্রোটেকশন দেওয়ার শর্তে বের হই। ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ আমাকে প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসে।
বাজারের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই ব্যবসায়ীরা আমার ওপর হামলা চালায়। এতে আমার মাথা ফেটে যায়। আমার সমর্থকরাও বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। পরে পুলিশ এসে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে গেছে। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে আমাকে চিকিৎসা দিয়েছে। আমার সঙ্গে ইউএনও, ওসি, এসিল্যাড এসে দেখা করেছেন।
বারাকপুর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনছার বলেন, চেয়ারম্যানের ওপর বাজারের ব্যবসায়ীরাসহ এলাকার বিক্ষদ্ধ জনতা হামলা চালিয়েছে। আমার কিছু করার ছিল না। আমি সবাইকে সামলাতে পারিনি। শুক্রবারে (১৭ এপ্রিল) চেয়ারম্যানসহ তার সমর্থকরা ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালিয়েছিলো। তারা রোববার চেয়ারম্যানের সর্মথকদের একত্রে দেখে ভেবেছে আবার হামলা চালাতে পারে। এ ভেবে তারা হামলা চালিয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুক্রবারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে বলা হয়েছিল। তবে কোনো পক্ষ থানায় মামলা করেনি। চেয়ারম্যান বের হলে ব্যবসায়ীরা হামলা চালিয়েছে। এসময়ে পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়েছে। বর্তমানে এলাকায় বিপুল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় বারাকপুর বাজারে দোকান খোলা রাখায় ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান গাজী জাকির হোসেন ও তার সমর্থকরা। এসময় ৯ জন ব্যবসায়ী আহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইজনের মাথা ফেটে গিয়েছিল।
ওই দিন আহতরা হলেন, ফল ব্যবসায়ী ইসরাইল (৪২), ওষুধ ব্যবসায়ী গোলাম রসুল (৪৭), কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাচ্ছু (৩৫), ভূষি-খৈল ব্যবসায়ী মোজাফ্ফার (৪১), ওষুধ ব্যবসায়ী ডা. আবু জার (৫৫), মুদি দোকানি অশোক কুন্ডু (৬৮) ও ছমির (৫৫)। মাথা ফেটে রক্তাক্তরা হন- মডার্ণ মেডিসিন সেন্টারের মালিক ডা. আফিউর (৫২) ও হাফিজ টেইলার্সের মালিক হাফিজুর (৩৮)।