মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায় অতিক্রম করে ফেলেছে। চলতি মাসে বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কড়াকড়ি শিথিল করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল বুধবার হোয়াইট হাউসে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ট্রাম্প। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, গভর্নরদের সঙ্গে আলোচনা শেষে আজ বৃহস্পতিবার অঙ্গরাজ্যগুলোর কর্মকাণ্ড চালুর বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হতে পারে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই।’
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯–এ আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩০ হাজার ৮২৬ জন।
চীনের উহান থেকে এই ভাইরাসের উৎপত্তি হলেও করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত ও মারা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘পরিসংখ্যান দেখে বোঝা যাচ্ছে, আমরা সংক্রমণের শীর্ষ পর্যায় পার করেছি। আশা করছি, এটি অব্যাহত থাকবে। এবং আমরা দুর্দান্ত অগ্রগতি অব্যাহত রাখব।’
সাংবাদিকেরা ট্রাম্পের কাছে জানতে চান, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০৮। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই তা ৩০ হাজারের বেশি। কেন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর হার বেশি? জবাবে ট্রাম্প বলেন, অন্য দেশগুলো মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। এ সময় তিনি চীনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ওরা মৃত্যুর সংখ্যা যা বলেছে, তা কি কেউ বিশ্বাস করবে?
এর আগে মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য খুলে দেওয়ার সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে ১ মের কথা বিবেচনা করছিল। তবে ট্রাম্প এবার জানালেন, সেই সময়ের আগেই কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে কিছু কর্মকাণ্ড চালু করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এটা খুবই আনন্দের সময় হবে। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চান, খুলে দিলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে কি না। তখন ট্রাম্প বলেন, এটি বন্ধ রাখার সঙ্গেও মৃত্যু জড়িয়ে আছে।
ট্রাম্প মনে করেন, এই লকডাউনের ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়ে এখন বেকার। বেকার ভাতার আবেদনের সংখ্যা রেকর্ড করেছে।
এদিকে কানেটিকাট, মেরিল্যান্ড, নিউইয়র্ক ও পেনসিলভানিয়ার গভর্নররা নির্দেশনা জারি করেছেন যে, সামনের সপ্তাহ থেকে বাসিন্দাদের বাইরে বের হলে মাস্ক পরতে হবে।
কানেটিকাটের গভর্নর লেড লামোন্ট বলেন, ‘আমরা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাব, তবে এটি একটি নতুন ধরনের স্বাভাবিক অবস্থা হবে।’