নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. চৌধুরী মোহাম্মদ ইকবাল বাহার। এ সময়ের মধ্যে যারা আইসোলেশনে ছিলেন তাদের মধ্য থেকে জেলায় ৩ জন আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হয়েছেন এবং দুজন মারা গেছেন।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও সদর উপজেলার প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। জেলায় যে ১১ জন মারা গেছে তার ৯ জনই সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ কিলোমিটারের মধ্যে। এমনকি এই সাত কিলোমিটার এলাকার মধ্যেই রয়েছে ৯০ শতাংশ আক্রান্ত।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে এ বিষয়ে সিভিল সাজন জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসেআক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৩৩ জন। এদের মধ্যে জেলায় মোট মৃত্যু ১১ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এছাড়া ইতোমধ্যে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছেন ২৭১ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০ জনের। জেলায় আইসোলেশনে আছেন ৯৩ জন। এদের মধ্যে আড়াইহাজারে ৩ জন, বন্দরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় ৬৮ জন, সদরে ১৫ জন ও রূপগঞ্জে ৩ জন।
তিনি আরো জানান, জেলায় মোট ১১ জনের মারা গেছেন যাদের মধ্যে বন্দরে ১ জন, নাসিক এলাকায় ৭ জন ও সদরে ৩ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৪ জনের মধ্যে বন্দরে ১ জন, নাসিক এলাকায় ২০ জন, সদরে ৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।
এর আগে ৫ এপ্রিল জেলায় ছয়জন ও ৬ এপ্রিল ১২ জন আক্রান্তের সংবাদ জানান সিভিল সার্জন। ৭ এপ্রিল ১৫ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় আইইডিসিআর। ৮ এপ্রিল জেলায় তিনজন শনাক্ত এবং ৯ এপ্রিল ১৩ জন আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ জানান সিভিল সার্জন। ১০ এপ্রিল জেলায় ১৬ জন, ১১ এপ্রিল ৮ জন ও ১২ এপ্রিল ২২ জন আক্রান্তের সংবাদ জানায় আইইডিসিআর।
তারও আগে গত ৮ মার্চ এ জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দু’জনকে শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরও একজন আক্রান্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। ওই ব্যক্তিও গত ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।