চলতি মাসের শেষে দেশে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক রোববার বলেন, ‘চলতি মাসের ৩০-৩১ তারিখের দিকে দেশের উপর দিয়ে আরেকটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তখন দেশের কোনো কোনো এলাকায় তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে। এই শৈত্য প্রবাহটি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।’
তিনি জানান, এটিই হতে পারে মৌসুমের শেষ শৈত্যপ্রবাহ। এরপর দেশে আর কোন শৈত্য প্রবাহের সম্ভাবনা নেই। এরপরই এই বছরের মতো শীত বিদায় নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে রোববার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দেশের অন্যত্র অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৮ শতাংশ। ঢাকায় আজ সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ৪১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪২ মিনিটে।
রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের সীতাকুন্ডে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং গতকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
আবহাওয়া চিত্রের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়েছে, বিষুবীয় ভারত মহাসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ববঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ৭২ ঘন্টা বা ৩ দিনে রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।