খিরা চাষে লাভবান হওয়ায় কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় কৃষকদের মুখে হাসি

খিরা চাষে লাভবান কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চরের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং খিরার ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এ অঞ্চলে দিন দিন খিরা চাষ বাড়ছে। খিরা চাষ করে অনেক কৃষকই এখন স্বাবলম্বী হয়েছেন।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এ বছর প্রায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে খিরার চাষ হয়েছে। উপজেলার মাঠে মাঠে কৃষকরা এখন খিরার জমিতে পরিচর্যায় ব্যস্ত। মেঘনার লুটেরচর, বাটেরচর, আনারপুরা ও বড়াইকান্দি চরে খিরার চাষাবাদ করা হয়েছে। সবুজ খিরা গাছে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। ইতোমধ্যেই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে খিরা উঠতে শুরু করেছে।

উপজেলার চাষিরা বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় এ চাষাবাদের প্রতি তাদের ঝোঁক। ১ বিঘা জমিতে খিরার চাষ করতে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরও ৮ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ২০ হাজার টাকার মত খরচ হয়।

নারী ও শিশু খিরা ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত – সংগৃহীত ছবি

মেঘনায় সরেজমিন দেখা যায়, ধু-ধু চরের চারদিকে শুধু খিরা ক্ষেত আর খিরা ক্ষেত। নারী, পুরুষ ও শিশু খিরা ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। কেউবা খিরা তুলছে, কেউবা খিরা বাছাই করছে, আবার কেউবা বস্তায় ভরছে। বাটেরচরের খিরা ক্ষেতে কথা হয় রফেজা বেগমের সঙ্গে। তার কথা, আমার বাপ গরীব মানু। খিরা ক্ষেত কইরা কয়ডা ডাইল-ভাত পেডে দিতাম পারি। এইডাই আমগ সুখ।

কুমিল্লার কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আমরা কৃষি অফিস থেকে খিরা চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়ার কারণে দিন দিন খিরা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। ফলন ভালো হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন এখানকার চাষিরা।