ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে এখনও লণ্ডভণ্ড ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল। বিশেষত ভারতের ওডিশা রাজ্যের মানুষ এখনও ‘ফণী’র আঘাত সামলে উঠতে পারেননি। এরইমধ্যে নতুন করে ধেয়ে আসছে আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বায়ু’।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গুজরাট উপকূলে ধেয়ে আসছে ‘বায়ু’। ইতোমধ্যে রাজ্যজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলবাসীর মধ্যে। দক্ষিণ গুজরাটে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় ৩ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়টি আদৌ বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া তথ্য মতে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড়টি পোরবন্দর ও মহউভার এলাকার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। ‘বায়ু’ আছড়ে পড়তে পারে লাক্ষ্যাদ্বীপ ও আমিনদিভিতেও। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ আরও শক্তিশালী হবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘বায়ু’ নিয়ে আগাম সতর্কমূলক অবস্থান থেকে গুজরাটের সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ, ভেরাবল ও দিউ এলাকার মৎস্যজীবীদের নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদেরকে গভীর সমুদ্রে প্রবেশে নিষেধ করে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে ‘বায়ু’ পূর্ব-মধ্য ভারতের দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে আরব সাগরসংলগ্ন এলাকায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইছে।
বুধবার (১২ জুন) ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে গুজরাট উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। তখন এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
‘বায়ু’র প্রভাব মোকাবিলায় তৎপরতা শুরু করেছে গুজরাট রাজ্য প্রশাসন। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলায় সেনা, নৌ ও উপকূলরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মে মাসের শুরুর দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে বাংলাদেশে ৩৫ জেলায় প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ১৩ হাজার ৬৩১ জন কৃষক। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ছিল প্রায় ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫০০ টাকা।
লেটেস্টবিডিনিউজ/কেএস