এমনিতে চলছে রমজান মাস, তারমধ্যে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে জীবন অতিষ্ঠ। গরমের সঙ্গে যোগ হয়েছে রোজার পরিধিও। প্রচণ্ড গরমে রোজাদারদের অবস্থাও বেশ কাহিল। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টির অপেক্ষায় যেন ছিল মানুষ। অবশেষে এই তীব্র গরমে ঝরেছে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে স্বস্তির এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা।
শুক্রবার (৩১ মে) রাত ৮টার পর রাজধানীতে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির সঙ্গে ছিল ঠাণ্ডা বাতাস। পরে শনিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ফের বৃষ্টিপাত হয়েছে।
রাতে এবং শনিবার ভোরে বৃষ্টিপাতের ফলে মিরপুর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, ফামর্গেট, কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, কাকরাইল, বিজয়নগরসহ বহু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এই জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। রাস্তায় কম রয়েছে গণপরিবহনের সংখ্যা। এর ফলে অফিসগামী এবং উপলক্ষে বাড়ি ফেরা ঢাকাবাসীও মালপত্র নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন জানান, ঢাকায় প্রায় তিন দিন পর বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে হালকা বাতাস বয়েছে।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরো পারবে। স্থান ভেদে কোথাও কোথাও ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশিও হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১ জুন) সন্ধ্যার পর থেকে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। ১ থেকে ৫ জুন পর্যন্ত সারাদেশে বৃষ্টি বেশি থাকবে।
গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু-কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
লেটেস্টবিডিনিউজ/এসকেবি