\’সব শেষ, এখন পথে বসতে হবে\’

“একবার আগুনে পুড়ে ব্যবসাপাতি সব শেষ হয়েছে। ধারদেনা করে কোনও রকমে কষ্ট করে আবারও ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আবারও আগুনে সব পুড়ে ছাই হলো। আমাদের কি হবে? আমাদের কে দেখবে? আমাদের তো এখন পথে বসতে হবে। আমাদের সব শেষ, সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।”

রাজধানীর গুলশান-১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিঃস হয়ে যাওয়া ব্যবসায়ীরা এভাবেই নিজেদের আর্তি প্রকাশ করছিলেন। এসময় নিঃস্বল হয়ে যাওয়া এই ব্যবসায়ীদের অনেকেই কথাগুলো বলতে বলতে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করেন।

শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৬টার দিকে এই মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে আগুন লাগে। এর পর ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী প্রায় ৩ ঘণ্টা যৌথ প্রচেষ্টা চালিয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আগুনে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। 

এদিকে আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। 

এসময় তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনারা জানেন এর আগেও এখানে আগুন লেগেছিল। কেন বারবার এই আগ্নিকাণ্ড হচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। এখন সময় এসেছে স্থায়ী সমাধান করার।’

মেয়র আরও বলেন, ‘মার্কেটটিতে এর আগে যখন আগুন লাগে তখন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। এখনও কোনও ব্যবস্থা নেই। আমরা এখানে ডিএনসিসি স্থায়ী মার্কেট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মামলার জটিলতা আছে।’

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরবেলা একই মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মার্কেটটির বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। এরপর অস্থায়ীভাবে দোকান তৈরি করে মার্কেটটি চালু করেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।

আগুনে সব হারানো ব্যবসায়ীদের একজন রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘২০১৭ সালের আগুনে আমার দোকানের ৭৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়। ব্যাংক থেকে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করি। কিন্তু ঋণের টাকা পরিশোধ করার আগেই ফের নিঃস্ব হলাম। এখন ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় নাই।’

Scroll to Top