কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সে দিকে লক্ষ্য রাখতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আইন প্রয়োগের সময় মানবাধিকারের বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
র্যাব সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের জনগণের কল্যানে কাজ করতে হবে। আপনারা সবাই বিভিন্ন বাহিনী থেকে এসেছেন, বিভিন্ন পরিবার থেকে এসেছেন। কাজেই দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি হলে এর সুফল কিন্তু প্রত্যেকের পরিবারের সদস্যরা পাবেন। গ্রামের মানুষের ভাগ্য উন্নত হবে।’
এসময় বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ, মাদক, জলদস্যুসহ বিভিন্ন ইস্যুতে র্যাব সদস্যদের কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জলদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আত্মসমর্পনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, যেসব জলদস্যুরা আত্মসমর্পন করেছে তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর ফলে জলদস্যুদের সন্তানরাও সম্মানজনক জীবন ফিরে পাচ্ছে। যারাই জলদস্যু বা জঙ্গিবাদের পথ থেকে সরে আসবে তাদের স্বাভাবিক জীবন দিতে সরকার সবকিছু করবে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় বিশ্বের বুকে দৃষ্টান্ত রাখতে পেরেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই কাজে সব বাহিনীর মধ্যে দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি সামাজিকভাবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য্ও সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। স্কুলে, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সমাজের বিশিষ্টজনকে এই সচেতনতা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এর ফলে জঙ্গিবাদ দমনে সফলতা এসেছে।
জঙ্গিবাদ দমনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় র্যাব সদষ্যদেরও ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
এসময় শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার যেমন কঠোর ছিল তেমনি মাদকের বিরুদ্ধেও কঠোর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে গোটা সমাজ মিলে জঙ্গিবাদ দমন করেছি সেভাবেই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। মাদকের সাথে সম্পর্কিত সবার বিরুদ্ধেই এই অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের মানুষের জীবন শান্তিপূর্ণ করতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন সুন্দর পরিবেশে বাস করতে পারে সে লক্ষ্যেই কাজ করছে তার সরকার।