নির্বাচনে কত শতাংশ ভোট পড়ল তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেছেন, পারসেনটেজ নয় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না সেটা হলো বিষয়।
আজ রবিবার উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
তৃতীয় ধাপে দেশের ১১৭টি উপজেলায় আজ সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। ভোটকেন্দ্র ফাঁকা থাকা নিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন থেকেই অস্বস্তিতে ইসি।প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ জন্য বিরোধী দলের অংশ না নেয়াকে দায়ী করেছেন সম্প্রতি।
আজকের ব্রিফিংয়ে উপজেলায় ভোটের হার কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন বলেছেন অনেকেই (দল) নির্বাচন করে নাই (অংশ নেয়নি)। প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচনে ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটি জেলা বাদ দিয়ে ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। রাঙ্গামাটির ফলাফল যদি আমরা পাই, তাহলে গড়ে আমাদের মনে হয় ৪৫ শতাংশ হবে। আর তৃতীয় ধাপে আমরা ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে ধারণা করছি।’
হেলালুদ্দীন আহমদ বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তারা কিন্তু ভোটে আসেনি। অপরদিকে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য তাদের প্রচারণা আছে। এসব আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।’
‘পারসেনটেজ ইজ নট দ্য মেটার। পারসেনটেজ কত হলো এটা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। আমাদের বিষয়টা হলো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটা অনুষ্ঠিত হয়েছে কি না’ – নির্বাচন কমিশন এমনটা বলেছে বলে জানান ইসি সচিব।
গত দুই দফায় ভোটের হার কম হওয়ায় নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা হারায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের কোনো আইন নেই যে কত শতাংশ ভোট দিতে হবে বা গ্রহণযোগ্যতার জন্য কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে।’
আজকের ভোটের পরিস্থিতি সম্পর্কে ইসি সচিব বলেন, কটিয়াদিতে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে একজন পুলিশ কনস্টেবল মারাত্মক আহত হয়েছে। তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তার আর্টারি ছিঁড়ে যাওয়ায় তাকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এনে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ‘সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন কমিশন মনে করছেন, মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’ বলেন ইসি সচিব।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোটের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ সদর ও মেহেরপুর সদর এই চারটি উপজেলায় ইভিএম ব্যভহার করা হয়েছে। এতে মোট ৩৪০টি কেন্দ্রে ২ হাজার ২১৩টি ভোটকক্ষে ভোট নেওয়া হয় ইভিএমে।
এ সময় ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান এবং এস এম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।